Wednesday, March 6, 2019

জানেন ঘৃতকুমারীর আশ্চর্য ব্যবহারের কথা! দেখে নিন হয়তো আজ থেকেই শুরু করে দিবেন


ঘৃতকুমারীকে সবাই অ্যালোভেরা নামেই ভালো চেনে। ঔষধি এই ভেষজের নানা গুণের কথা এ অঞ্চলের মানুষের বহুকাল থেকেই জানা। ঘৃতকুমারী নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজের এক সমৃদ্ধ উৎস। ঘৃতকুমারীতে প্রায় বিশ ধরনের খনিজ আছে। এর মধ্যে রয়েছে কপার, জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাংগানিজ। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী দেহের নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান এবং অসুখ-বিসুখ সারিয়ে তুলতে অতুলনীয়। জেনে নেয়া যাক অ্যালোভেরার কিছু ব্যবহার-

অনেকেই হয়ত শুনেছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে ঘৃতকুমারী সেবনের কথা। এতে কি সত্যি কাজ হয়? থাইল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস পান করলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তার মানে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ঘৃতকুমারী কাজে দেবে।

বাজার চলতি যে মাউথ ওয়াশ আমরা ব্যবহার করি তাতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান থাকে। বরং একটি নিরাপদ ও কার্যকর বিকল্প হতে পারে ঘৃতকুমারী যা ভিটামিন সি যুক্ত। মাড়ি ফোলা বা রক্তপাতের মত সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে এই ঘৃতকুমারীর রস।

হজমের সমস্যা হলে শরীরে রোগ বাসা বাঁধে। তাই সুস্বাস্থ্যের অন্যতম ভিত্তি হল হজমের প্রক্রিয়া ঠিক রাখা। আর ঘৃতকুমারী পরিপাক যন্ত্রকে পরিষ্কার এবং হজম শক্তি বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর। কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া, দু’ক্ষেত্রেই ঘৃতকুমারীর রস কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ত্বকের লাবণ্য এবং দীপ্তি ধরে রাখতে স্ক্রাবের বিকল্প নেই। ঘৃতকুমারী ত্বককে টান টান করে, নরম করে এবং ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ করে। ঘৃতকুমারী দিয়ে স্ক্রাবার বানাতে ছয় চামচ ঘৃতকুমারীর রসের সাথে দুই চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে মিশ্রণটি সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করুন।

ফেস ওয়াশ হিসেবেও ঘৃতকুমারী ব্যবহার করা যায়। সমপরিমাণ ঘৃতকুমারীর রস, লেবুর রস এবং বাদাম দুধ একসাথে মিশিয়ে ফেস ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এটি ভাল।

ঘৃতকুমারী দারুণ অ্যাডাপ্টোজেন। বাহ্যিক নানা চাপ ও রোগ প্রতিরোধে দেহের প্রাকৃতিক ক্ষমতাকে বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী উপাদানই হল অ্যাডাপ্টোজেন।

ধন্যবাদ | Home Laboratory

Tuesday, March 5, 2019

তুলসী পাতায় সারবে ৭ মারণরোগ, জেনে নিন ব্যবহার!


১। মাথাব্যথা দূর করতে
মাথাব্যথা খুব পরিচিত একটা রোগ। এটি যেকোনো সময় যে কারও হতে পারে। এই ব্যথা অল্প থেকে শুরু হলেও তীব্র হতে বেশি সময় লাগে না। তুলসীপাতা এই মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রাকৃতিক গুণাগুণ যা মাথাব্যথা দূর করে থাকে। এমনকি মাইগ্রেন, সাইনাসের কারণে মাথাব্যথাও দূর হতে পারে কেবল প্রতিদিন একটি তুলসীপাতা খেলে।

২। ইনফেকশন বা সংক্রমণের চিকিৎসায়
দেহের ইনফেকশন দূর করে থাকে তুলসী পাতা। এতে ফাংজিসাইডাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে, যা দেহের অভ্যন্তরীন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।

৩। কিডনির পাথর দূর করতে
তুলসীপাতা কিডনির পাথর সারাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসীপাতা খেলে এটি প্রাকৃতিকভাবে কিডনির পাথর দূর করে দিবে।

৪। ডায়াবেটিস রোধ করতে
তুলসী পাতাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিথাইল, ইউজিনল উপাদান আছে। এটি রক্তের সুগারের পরিমাণ কমিয়ে থাকে। আবার শরীরে প্রয়োজনীয় ইন্সুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে। যা ডায়াবেটিস রোধ করতে সাহায্য করে।

৫। কাশি দূর করতে
এটা সবাই জানে তুলসী পাতার রস কাশি দূর করে থাকে। সকালে এক গ্লাস জলের সঙ্গে তুলসীপাতা খেলেই কেল্লাফতে। এতে অ্যান্টিটুসিভ উপাদান যা কফ দূর করতে সাহায্য করবে। এক্সপেকটোরেন্ট উপাদান বুকের শ্লেষ্মাকে বের করে দেবে।

৬। ক্যানসার প্রতিরোধে
তুলসী পাতাতে অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট উপাদান আছে৷ যা স্তন ক্যানসার এবং ওরাল ক্যানসার প্রতিরোধ করে। তুলসীপাতার রস রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে যা টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে থাকে।

৭। ফুসফুসের জন্য
তুলসীপাতার মধ্যে পলিফেনল উপাদান আছে৷ যা রক্তাধিক্যজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যা ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

গরম দুধ এবং মধুর অসাধারণ ৭টি স্বাস্থ্যগুণ!


দুধের স্বাস্থ্যগুণের কথা সবার জানা। আর মধুকেও বলা হয় অনেক রোগের নিরাময়ক। দাদী নানীরা ঠাণ্ডা, কাশি লাগলে বা অসুখ হলে মধু মিশানো গরম দুধ খাওয়ার কথা বলতেন। এখনও অনেকেই ঠান্ডা জ্বর বা অসুখের সময় মধু মিশানো গরম দুধ পান করে থাকেন।

দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল,ক্যালসিয়াম, ল্যাক্টিক অ্যাসিড এবং প্রাণীজ প্রোটিন আছে। আর মধুতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান। মধু মিশ্রিত দুধ খুবই ভাল একটি হেলথ ড্রিংক।

১। মনোবল বৃদ্ধি
সকালে এক গ্লাস গরম দুধে মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি আপনাকে সারাদিনের কাজের এনার্জি দিবে। দুধের প্রোটিন এবং মধুর শর্করা মিশে আপনার মেটাবলিজমকে উদ্দীপিত করে থাকে। এই পানীয়টি ছোট বড় সবাই খেতে পারে।

২। হাড় গঠনে
গবেষণায় দেখা গেছে মধু ধীরে ধীরে খাদ্য থেকে পুষ্টি সারা দেহে পরিবহন করে থাকে। বিশেষ করে দুধের ক্যালসিয়ামকে মধু সারা শরীরের পরিবহন করে থাকে। তাই মধু দুধ শুধুমাত্র শরীরে পুষ্টি প্রদান করে থাকে না পাশাপাশি হাড় মজবুত করে থাকে। হাড়জনিত রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।

৩। স্ট্রেস দূর করতে
গরম দুধ এবং মধু নার্ভকে শিথিল করে স্ট্রেস কমিয়ে থাকে। আপনি যদি অনেক বেশি দুশ্চিন্তায় থাকেন তবে দিনে দুইবার গরম দুধ, মধু পান করুন। এটি আপনাকে রিল্যাক্স করে দিবে।

৪। অনিদ্রা দূর করতে
বিভিন্ন ঘুম বিশেজ্ঞদের মতে গরম দুধ এবং মধু ঘুম পাড়াতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ এবং মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি আপনার ঘুম আনাতে সাহায্য করবে। আপনার অনিদ্রার সমস্যা থাকলে নিয়মিত এটি পান করুন।

৫। বার্ধক্য রোধ করতে
তারুণ্য ধরে রাখতে চান? তাহলে প্রতিদিন গরম দুধ এবং মধু পান করুন। গরম দুধ এবং মধুকে “জীবনী সুধা” বলা হয়। গ্রিক, রোমান, মিশরীয় এবং অনেক ভারতীয়দের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য নিয়মিত গরম দুধ এবং মধু পান করতেন। শুধু তাই নয় এটি আপনাকে দীর্ঘায়ু করতে সাহায্য করে।

৬। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান
গবেষণায় দেখা গেছে দুধ এবং মধু একসাথে অনেক ভাল অ্যান্টি ব্যায়টিক হিসেবে কাজ করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে, পেট ব্যথা, ঠাণ্ডা কাশি দূর করে থাকে।

৭। হজমে সাহায্য করে
আপনার যদি হজমে সমস্যা হয় বা পেট ফুলে থাকে তবে গরম দুধ এবং মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি পেটের গ্যাস দূর করে পেট ব্যথা কমিয়ে দিবে।

যেভাবে তৈরি করবেন-
এক গ্লাস গরম দুধে এক টেবিল চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। যাতে মধু গ্লাসের তলায় থেকে না যায়। ডায়াবেটিকস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শে মধু দুধ পান করুন।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

পাথরকুচি পাতার উপকারিতা, জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন!


পাতা থেকে গাছ হয়! এমনি এক আশ্চর্য গাছের নাম পাথরকুচি। এই আশ্চর্য গাছের গুণাবলী শুনলে আপনিও আশ্চর্য হয়ে যাবেন। পাথরকুচি পাতা যে কতভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে তার ইয়ত্তা নেই।

১. কিডনির পাথর অপসারণে পাথরকুচি পাতা:
পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলব্লাডারের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। দিনে দুই বার ২ থেকে ৩ টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান।

২. জন্ডিস নিরাময়ে:
লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী।

৩. সর্দি সারাতে:
অনেক দিন ধরে যারা সর্দির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য পাথরকুচি পাতা অমৃতস্বরূপ। পাথরকুচি পাতার রস একটু গরম করে খেলে সর্দির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৪. ক্ষত স্থান সারাতে:
পাথরকুচি পাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায়। পাথরকুচি পাতা বেটেও কাটাস্থানে লাগাতে পারেন।

৫. ত্বকের যত্নে:
পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সাথে সাথেই এর মধ্যে জ্বালা-পোড়া কমানোর ক্ষমতা থাকে।
যারা ত্বক সম্বন্ধে অনেক সচেতন তারা পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ব্রণ ও ফুস্কুড়ি জাতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

এছাড়াও-
১. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মুত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়।
২. শরীরের জ্বালা-পোড়া বা আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করে।
৩. পাথরকুচি পাতা বেটে কয়েক ফোঁটা রস কানের ভেতর দিলে কানের যন্ত্রণা কমে যায়।
৪. কলেরা, ডাইরিয়া বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচি পাতার জুড়ি নেই। ৩ মি.লি. পাথরকুচি পাতার জুসের সাথে ৩ গ্রাম জিরা এবং ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন পর্যন্ত খেলে এসব রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়।
৫. পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস্‌ ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

চিংড়ি দূর করবে ১০টি শারীরিক সমস্যা!


যদিও চিংড়ি একটি মাছ নয়, একটি পোকা, তবুও আমরা একে চিংড়ি মাছ হিসেবেই চিনে থাকি। যারা মাছ খেতে পছন্দ করেন না তারাও চিংড়িমাছ বেশ মজা করেই খেয়ে থাকেন। সকলের কাছেই চিংড়ির তৈরি খাবার অনেক পছন্দের।

কিন্তু আপনি জানেন কি? শুধু স্বাদই নয় চিংড়ির রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্যউপকারিতা। চিংড়ি মাছ খাওয়ার অভ্যাস প্রায় ১০ ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এবং মারাত্মক কিছু রোগ থেকেও মুক্তি দিয়ে থাকে। তবে যাদের চিংড়ি মাছে অ্যালার্জি রয়েছে তারা এর থেকে দূরে থাকুন।

১) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে –
চিংড়ি মাছে প্রায় ৫৭% সেলেনিয়াম থাকে। মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ থেকে অনেকটা সেলেনিয়াম পাওয়া সম্ভব। ইন্সটিটিউট বফ ফুড রিসার্চের গবেষকগণের মতে এই সেলেনিয়াম দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে। এই চিংড়িমাছের সেলেনিয়ামের সাথে ব্রকলি, পাতাকপি, ফুলকপির সালফোরাফেইনের মিশ্রণ এই প্রতিরোধ আরও বাড়িয়ে তোলে।

২) রক্তস্বল্পতা দূর করে –
চিংড়িমাছ আমাদের দেহের ভিটামিন বি১২ এর চাহিদা প্রায় ২৫% দূর করে। এবং দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

৩) শারীরিক দুর্বলতা কাটায় –
অনেকেই নানা সময় শারীরিক দুর্বলতায় ভুগে থাকেন যার পেছনে দেহে আয়রনের ঘাটতি দায়ী থাকে। চিংড়ি মাছ আমাদের দেহের ১৭% আয়রনের চাহিদা পূরণ করে এবং এনার্জি সরবরাহ করে। এতে করে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়।

৪) হাড়ের ক্ষয় রোধ করে –
চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৪% ফসফরাস। চিংড়ি মাছ খাওয়ার অভ্যাস দেহের ফসসরাসের চাহিদা পূরণ করে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে ও হাড়কে মজবুত করতে বিশেষভাবে কাজ করে।

৫) ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে –
আমাদের মুটিয়ে যাওয়ার প্রথম ও প্রধান কারণ দেহে ফ্যাট জমা। চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৩% নিয়াসিন যা ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনকে এনার্জিতে পরিবর্তন করে এবং দেহে ফ্যাট জমতে বাঁধা দেয়।

৬) বিষণ্ণতা দূর করে –
মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রায় ৩৪৭ মিলিগ্রাম ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষকদের মতে এই ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কে সেরেটেনিন উৎপন্ন করে যা বিষণ্ণতা দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক।

৭) মুত্রথলির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে–
গবেষণায় দেখা যায় জিংক মুত্রথলি সংক্রান্ত নানা রোগ ও ইনফেকশন থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। এমনকি মুত্রথলির ক্যান্সারের হাত থেকেও রক্ষা করে। চিংড়ি মাছের ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় ১০-১৫ মিলিগ্রাম জিংক যা আমাদের মুত্রথলির সুস্থতা নিশ্চিত করে।

৮) থাইরয়েডের সমস্যা দূর করে –
চিংড়িমাছের প্রায় ১০% কপার আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

৯) ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে –
চিংড়িতে রয়েছে ৮% ম্যাগনেসিয়াম। গবেষণায় দেখা যায় ম্যাগনেসিয়াম দেহকে টাইপ ২ ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে। এবং রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

১০) ত্বক, চুল ও নখের সুরক্ষা করে –
চিংড়িমাছ আমাদের দেহের প্রায় ৪২% পর্যন্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে। যা আমাদের ত্বক, চুল এবং নখের সুরক্ষায় কাজ করে। এবং এই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ না হলে দামী ব্যান্ডের কোনো প্রোডাক্টের মাধ্যমেই ত্বক, চুল ও নখের সুরক্ষা সম্ভব নয়।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

কমলার খোসার রকমারি গুণাগুণ!


কমলার খোসায় রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। কমলালেবু খাওয়ার পর সাধারণত আমরা এর খোসা ফেলে দেই। কারণ আপাত দৃষ্টিতে এর কোনো গুণাগুণ আমরা খুঁজে পাই না। কিন্তু অনেকেই জানি না যে এই কমলার খোসার রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও ব্যবহার। অন্যান্য অনেক ফলের খোসার চেয়ে কমলার খোসার গুণাগুণ অনেক বেশি।

কমলাতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান বিদ্যমান; যা হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। কমলার পাশাপাশি এর খোসারও অনেক গুণ রয়েছে।

তাহলে চলুন দেখে নেই কমলার খোসার বিভিন্ন ব্যবহার:

১) অনেকদিন ব্যবহারের ফলে ফ্রিজে যে দুর্গন্ধ হয় তা দূর করতে কমলার খোসাতে লবণ ছড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন। অল্প সময়ের মধ্যে এর সুফল পাওয়া যাবে।

২) কাঠের আসবাব পরিষ্কার করতে ব্যবহার করতে পারেন কমলার খোসা। এর জন্য দুই সপ্তাহ ভিনেগারে ডুবিয়ে রাখুন কমলার খোসা। খোসা ফেলে দ্রবণটি স্প্রে বোতলে নিয়ে কাঠের আসবাবে স্প্রে করুন। এরপর শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।

৩) জুতার তলায় আলকাতরা বা অন্য যেকোনো ধরনের কালি লাগলে তা দূর করতে কমলার খোসা ব্যবহার করা যায়।

৪) কমলার খোসা দিয়ে দৃষ্টিনন্দন প্রদীপ তৈরি করা যায়। ইচ্ছে মতো নকশা করে নিতে পারেন খোসা। কমলার খোসা ছাড়ানোর আগে লক্ষ্য রাখতে হবে, কমলার গোড়ার সাদা আঁশের মতো অংশ যেন খোসার সঙ্গে খুলে না যায়। এরপর সাদা আঁশ আঙুল দিয়ে সলতের মতো করে ভেতরে তেল দিন। আর সলতের মাথায় আগুন দিন।

৫) কাপড়ের আলমারির ভ্যাপসা গন্ধ দূর করতে পাতলা প্লাস্টিকে কমলার খোসা নিয়ে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে তা ফেলে দিয়ে আবার নতুন করে কমলার খোসা রেখে দিন।

৬) চুল ঝলমলে করতে ব্যবহার করা যায় কমলার খোসা। খোসাসহ একটি কমলা ব্লেন্ড করে চুলে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। চুল হবে উজ্জ্বল ও ঝলমলে।

৭) বয়ামে রাখা চিনি শক্ত হয়ে গেলে কয়েক টুকরা কমলার খোসা দিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন। দলা ভেঙে যাবে।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

৮টি রোগ সারাতে ম্যাজিকের মত কাজ করে বেদানা!


বাতের ব্যথা কাবু করে ফেলেছে আপনাকে? বাড়ছে ব্লাড প্রেসার? আটকাতে চান ক্যানসার, বা হার্টের মারত্মক অসুখ? জানেন কি বেদানাই করতে পারে মুসকিল আসান। এই ফলের দানায় দানায় রয়েছে ম্যাজিক। খাদ্যগুণে ভরপুর বেদানার প্রতিটা দানা।

গবেষণা বলেছে, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর বেদানা। রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C আর ভিটামিন K। পটাশিয়ামে সম্বৃদ্ধ বেদানা। ফাইবার আর প্রোটিনের উৎসও এই ফল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ বেদানা ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রমাণিত বেদানা ক্যানসারাস কোষগুলির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে দারুন ভাবে কাজে দেয় বেদানা।

ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ন্ত্রণেও কাজে দেয় এই ফল।বেদানার রস হার্টের অসুখের সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। অ্যান্টিঅক্সিডান্টে ভরপুর বেদানার রস ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তচাপ কমাতেও দারুন ভাবে কাজে দেয় বেদানা। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে বেদানার রস। অ্যালঝাইমার্সের ক্ষেত্রে কাজে দেয় এই ফল। ব্যথা কমাতেও বেদানার জুড়ি নেই। গাঁটের ব্যথা থেকে বাতের যন্ত্রণা কমাতে পারে বেদানাই।
ব্যাকটিরিয়া আর ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল করতেও বেদানা দারুন কাজে দেয়৷
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory