Wednesday, March 6, 2019

জানেন ঘৃতকুমারীর আশ্চর্য ব্যবহারের কথা! দেখে নিন হয়তো আজ থেকেই শুরু করে দিবেন


ঘৃতকুমারীকে সবাই অ্যালোভেরা নামেই ভালো চেনে। ঔষধি এই ভেষজের নানা গুণের কথা এ অঞ্চলের মানুষের বহুকাল থেকেই জানা। ঘৃতকুমারী নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজের এক সমৃদ্ধ উৎস। ঘৃতকুমারীতে প্রায় বিশ ধরনের খনিজ আছে। এর মধ্যে রয়েছে কপার, জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাংগানিজ। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী দেহের নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান এবং অসুখ-বিসুখ সারিয়ে তুলতে অতুলনীয়। জেনে নেয়া যাক অ্যালোভেরার কিছু ব্যবহার-

অনেকেই হয়ত শুনেছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে ঘৃতকুমারী সেবনের কথা। এতে কি সত্যি কাজ হয়? থাইল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস পান করলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তার মানে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ঘৃতকুমারী কাজে দেবে।

বাজার চলতি যে মাউথ ওয়াশ আমরা ব্যবহার করি তাতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান থাকে। বরং একটি নিরাপদ ও কার্যকর বিকল্প হতে পারে ঘৃতকুমারী যা ভিটামিন সি যুক্ত। মাড়ি ফোলা বা রক্তপাতের মত সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে এই ঘৃতকুমারীর রস।

হজমের সমস্যা হলে শরীরে রোগ বাসা বাঁধে। তাই সুস্বাস্থ্যের অন্যতম ভিত্তি হল হজমের প্রক্রিয়া ঠিক রাখা। আর ঘৃতকুমারী পরিপাক যন্ত্রকে পরিষ্কার এবং হজম শক্তি বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর। কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া, দু’ক্ষেত্রেই ঘৃতকুমারীর রস কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ত্বকের লাবণ্য এবং দীপ্তি ধরে রাখতে স্ক্রাবের বিকল্প নেই। ঘৃতকুমারী ত্বককে টান টান করে, নরম করে এবং ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ করে। ঘৃতকুমারী দিয়ে স্ক্রাবার বানাতে ছয় চামচ ঘৃতকুমারীর রসের সাথে দুই চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে মিশ্রণটি সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করুন।

ফেস ওয়াশ হিসেবেও ঘৃতকুমারী ব্যবহার করা যায়। সমপরিমাণ ঘৃতকুমারীর রস, লেবুর রস এবং বাদাম দুধ একসাথে মিশিয়ে ফেস ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এটি ভাল।

ঘৃতকুমারী দারুণ অ্যাডাপ্টোজেন। বাহ্যিক নানা চাপ ও রোগ প্রতিরোধে দেহের প্রাকৃতিক ক্ষমতাকে বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী উপাদানই হল অ্যাডাপ্টোজেন।

ধন্যবাদ | Home Laboratory

No comments:

Post a Comment