Wednesday, March 6, 2019

জানেন ঘৃতকুমারীর আশ্চর্য ব্যবহারের কথা! দেখে নিন হয়তো আজ থেকেই শুরু করে দিবেন


ঘৃতকুমারীকে সবাই অ্যালোভেরা নামেই ভালো চেনে। ঔষধি এই ভেষজের নানা গুণের কথা এ অঞ্চলের মানুষের বহুকাল থেকেই জানা। ঘৃতকুমারী নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজের এক সমৃদ্ধ উৎস। ঘৃতকুমারীতে প্রায় বিশ ধরনের খনিজ আছে। এর মধ্যে রয়েছে কপার, জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাংগানিজ। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী দেহের নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান এবং অসুখ-বিসুখ সারিয়ে তুলতে অতুলনীয়। জেনে নেয়া যাক অ্যালোভেরার কিছু ব্যবহার-

অনেকেই হয়ত শুনেছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে ঘৃতকুমারী সেবনের কথা। এতে কি সত্যি কাজ হয়? থাইল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস পান করলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তার মানে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ঘৃতকুমারী কাজে দেবে।

বাজার চলতি যে মাউথ ওয়াশ আমরা ব্যবহার করি তাতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান থাকে। বরং একটি নিরাপদ ও কার্যকর বিকল্প হতে পারে ঘৃতকুমারী যা ভিটামিন সি যুক্ত। মাড়ি ফোলা বা রক্তপাতের মত সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে এই ঘৃতকুমারীর রস।

হজমের সমস্যা হলে শরীরে রোগ বাসা বাঁধে। তাই সুস্বাস্থ্যের অন্যতম ভিত্তি হল হজমের প্রক্রিয়া ঠিক রাখা। আর ঘৃতকুমারী পরিপাক যন্ত্রকে পরিষ্কার এবং হজম শক্তি বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর। কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া, দু’ক্ষেত্রেই ঘৃতকুমারীর রস কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ত্বকের লাবণ্য এবং দীপ্তি ধরে রাখতে স্ক্রাবের বিকল্প নেই। ঘৃতকুমারী ত্বককে টান টান করে, নরম করে এবং ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ করে। ঘৃতকুমারী দিয়ে স্ক্রাবার বানাতে ছয় চামচ ঘৃতকুমারীর রসের সাথে দুই চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে মিশ্রণটি সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করুন।

ফেস ওয়াশ হিসেবেও ঘৃতকুমারী ব্যবহার করা যায়। সমপরিমাণ ঘৃতকুমারীর রস, লেবুর রস এবং বাদাম দুধ একসাথে মিশিয়ে ফেস ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এটি ভাল।

ঘৃতকুমারী দারুণ অ্যাডাপ্টোজেন। বাহ্যিক নানা চাপ ও রোগ প্রতিরোধে দেহের প্রাকৃতিক ক্ষমতাকে বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী উপাদানই হল অ্যাডাপ্টোজেন।

ধন্যবাদ | Home Laboratory

Tuesday, March 5, 2019

তুলসী পাতায় সারবে ৭ মারণরোগ, জেনে নিন ব্যবহার!


১। মাথাব্যথা দূর করতে
মাথাব্যথা খুব পরিচিত একটা রোগ। এটি যেকোনো সময় যে কারও হতে পারে। এই ব্যথা অল্প থেকে শুরু হলেও তীব্র হতে বেশি সময় লাগে না। তুলসীপাতা এই মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রাকৃতিক গুণাগুণ যা মাথাব্যথা দূর করে থাকে। এমনকি মাইগ্রেন, সাইনাসের কারণে মাথাব্যথাও দূর হতে পারে কেবল প্রতিদিন একটি তুলসীপাতা খেলে।

২। ইনফেকশন বা সংক্রমণের চিকিৎসায়
দেহের ইনফেকশন দূর করে থাকে তুলসী পাতা। এতে ফাংজিসাইডাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে, যা দেহের অভ্যন্তরীন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।

৩। কিডনির পাথর দূর করতে
তুলসীপাতা কিডনির পাথর সারাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসীপাতা খেলে এটি প্রাকৃতিকভাবে কিডনির পাথর দূর করে দিবে।

৪। ডায়াবেটিস রোধ করতে
তুলসী পাতাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিথাইল, ইউজিনল উপাদান আছে। এটি রক্তের সুগারের পরিমাণ কমিয়ে থাকে। আবার শরীরে প্রয়োজনীয় ইন্সুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে। যা ডায়াবেটিস রোধ করতে সাহায্য করে।

৫। কাশি দূর করতে
এটা সবাই জানে তুলসী পাতার রস কাশি দূর করে থাকে। সকালে এক গ্লাস জলের সঙ্গে তুলসীপাতা খেলেই কেল্লাফতে। এতে অ্যান্টিটুসিভ উপাদান যা কফ দূর করতে সাহায্য করবে। এক্সপেকটোরেন্ট উপাদান বুকের শ্লেষ্মাকে বের করে দেবে।

৬। ক্যানসার প্রতিরোধে
তুলসী পাতাতে অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট উপাদান আছে৷ যা স্তন ক্যানসার এবং ওরাল ক্যানসার প্রতিরোধ করে। তুলসীপাতার রস রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে যা টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে থাকে।

৭। ফুসফুসের জন্য
তুলসীপাতার মধ্যে পলিফেনল উপাদান আছে৷ যা রক্তাধিক্যজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যা ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

গরম দুধ এবং মধুর অসাধারণ ৭টি স্বাস্থ্যগুণ!


দুধের স্বাস্থ্যগুণের কথা সবার জানা। আর মধুকেও বলা হয় অনেক রোগের নিরাময়ক। দাদী নানীরা ঠাণ্ডা, কাশি লাগলে বা অসুখ হলে মধু মিশানো গরম দুধ খাওয়ার কথা বলতেন। এখনও অনেকেই ঠান্ডা জ্বর বা অসুখের সময় মধু মিশানো গরম দুধ পান করে থাকেন।

দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল,ক্যালসিয়াম, ল্যাক্টিক অ্যাসিড এবং প্রাণীজ প্রোটিন আছে। আর মধুতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান। মধু মিশ্রিত দুধ খুবই ভাল একটি হেলথ ড্রিংক।

১। মনোবল বৃদ্ধি
সকালে এক গ্লাস গরম দুধে মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি আপনাকে সারাদিনের কাজের এনার্জি দিবে। দুধের প্রোটিন এবং মধুর শর্করা মিশে আপনার মেটাবলিজমকে উদ্দীপিত করে থাকে। এই পানীয়টি ছোট বড় সবাই খেতে পারে।

২। হাড় গঠনে
গবেষণায় দেখা গেছে মধু ধীরে ধীরে খাদ্য থেকে পুষ্টি সারা দেহে পরিবহন করে থাকে। বিশেষ করে দুধের ক্যালসিয়ামকে মধু সারা শরীরের পরিবহন করে থাকে। তাই মধু দুধ শুধুমাত্র শরীরে পুষ্টি প্রদান করে থাকে না পাশাপাশি হাড় মজবুত করে থাকে। হাড়জনিত রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।

৩। স্ট্রেস দূর করতে
গরম দুধ এবং মধু নার্ভকে শিথিল করে স্ট্রেস কমিয়ে থাকে। আপনি যদি অনেক বেশি দুশ্চিন্তায় থাকেন তবে দিনে দুইবার গরম দুধ, মধু পান করুন। এটি আপনাকে রিল্যাক্স করে দিবে।

৪। অনিদ্রা দূর করতে
বিভিন্ন ঘুম বিশেজ্ঞদের মতে গরম দুধ এবং মধু ঘুম পাড়াতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ এবং মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি আপনার ঘুম আনাতে সাহায্য করবে। আপনার অনিদ্রার সমস্যা থাকলে নিয়মিত এটি পান করুন।

৫। বার্ধক্য রোধ করতে
তারুণ্য ধরে রাখতে চান? তাহলে প্রতিদিন গরম দুধ এবং মধু পান করুন। গরম দুধ এবং মধুকে “জীবনী সুধা” বলা হয়। গ্রিক, রোমান, মিশরীয় এবং অনেক ভারতীয়দের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য নিয়মিত গরম দুধ এবং মধু পান করতেন। শুধু তাই নয় এটি আপনাকে দীর্ঘায়ু করতে সাহায্য করে।

৬। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান
গবেষণায় দেখা গেছে দুধ এবং মধু একসাথে অনেক ভাল অ্যান্টি ব্যায়টিক হিসেবে কাজ করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে, পেট ব্যথা, ঠাণ্ডা কাশি দূর করে থাকে।

৭। হজমে সাহায্য করে
আপনার যদি হজমে সমস্যা হয় বা পেট ফুলে থাকে তবে গরম দুধ এবং মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি পেটের গ্যাস দূর করে পেট ব্যথা কমিয়ে দিবে।

যেভাবে তৈরি করবেন-
এক গ্লাস গরম দুধে এক টেবিল চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। যাতে মধু গ্লাসের তলায় থেকে না যায়। ডায়াবেটিকস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শে মধু দুধ পান করুন।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

পাথরকুচি পাতার উপকারিতা, জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন!


পাতা থেকে গাছ হয়! এমনি এক আশ্চর্য গাছের নাম পাথরকুচি। এই আশ্চর্য গাছের গুণাবলী শুনলে আপনিও আশ্চর্য হয়ে যাবেন। পাথরকুচি পাতা যে কতভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে তার ইয়ত্তা নেই।

১. কিডনির পাথর অপসারণে পাথরকুচি পাতা:
পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলব্লাডারের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। দিনে দুই বার ২ থেকে ৩ টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান।

২. জন্ডিস নিরাময়ে:
লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী।

৩. সর্দি সারাতে:
অনেক দিন ধরে যারা সর্দির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য পাথরকুচি পাতা অমৃতস্বরূপ। পাথরকুচি পাতার রস একটু গরম করে খেলে সর্দির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৪. ক্ষত স্থান সারাতে:
পাথরকুচি পাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায়। পাথরকুচি পাতা বেটেও কাটাস্থানে লাগাতে পারেন।

৫. ত্বকের যত্নে:
পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সাথে সাথেই এর মধ্যে জ্বালা-পোড়া কমানোর ক্ষমতা থাকে।
যারা ত্বক সম্বন্ধে অনেক সচেতন তারা পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ব্রণ ও ফুস্কুড়ি জাতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

এছাড়াও-
১. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মুত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়।
২. শরীরের জ্বালা-পোড়া বা আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করে।
৩. পাথরকুচি পাতা বেটে কয়েক ফোঁটা রস কানের ভেতর দিলে কানের যন্ত্রণা কমে যায়।
৪. কলেরা, ডাইরিয়া বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচি পাতার জুড়ি নেই। ৩ মি.লি. পাথরকুচি পাতার জুসের সাথে ৩ গ্রাম জিরা এবং ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন পর্যন্ত খেলে এসব রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়।
৫. পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস্‌ ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

চিংড়ি দূর করবে ১০টি শারীরিক সমস্যা!


যদিও চিংড়ি একটি মাছ নয়, একটি পোকা, তবুও আমরা একে চিংড়ি মাছ হিসেবেই চিনে থাকি। যারা মাছ খেতে পছন্দ করেন না তারাও চিংড়িমাছ বেশ মজা করেই খেয়ে থাকেন। সকলের কাছেই চিংড়ির তৈরি খাবার অনেক পছন্দের।

কিন্তু আপনি জানেন কি? শুধু স্বাদই নয় চিংড়ির রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্যউপকারিতা। চিংড়ি মাছ খাওয়ার অভ্যাস প্রায় ১০ ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এবং মারাত্মক কিছু রোগ থেকেও মুক্তি দিয়ে থাকে। তবে যাদের চিংড়ি মাছে অ্যালার্জি রয়েছে তারা এর থেকে দূরে থাকুন।

১) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে –
চিংড়ি মাছে প্রায় ৫৭% সেলেনিয়াম থাকে। মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ থেকে অনেকটা সেলেনিয়াম পাওয়া সম্ভব। ইন্সটিটিউট বফ ফুড রিসার্চের গবেষকগণের মতে এই সেলেনিয়াম দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে। এই চিংড়িমাছের সেলেনিয়ামের সাথে ব্রকলি, পাতাকপি, ফুলকপির সালফোরাফেইনের মিশ্রণ এই প্রতিরোধ আরও বাড়িয়ে তোলে।

২) রক্তস্বল্পতা দূর করে –
চিংড়িমাছ আমাদের দেহের ভিটামিন বি১২ এর চাহিদা প্রায় ২৫% দূর করে। এবং দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

৩) শারীরিক দুর্বলতা কাটায় –
অনেকেই নানা সময় শারীরিক দুর্বলতায় ভুগে থাকেন যার পেছনে দেহে আয়রনের ঘাটতি দায়ী থাকে। চিংড়ি মাছ আমাদের দেহের ১৭% আয়রনের চাহিদা পূরণ করে এবং এনার্জি সরবরাহ করে। এতে করে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়।

৪) হাড়ের ক্ষয় রোধ করে –
চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৪% ফসফরাস। চিংড়ি মাছ খাওয়ার অভ্যাস দেহের ফসসরাসের চাহিদা পূরণ করে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে ও হাড়কে মজবুত করতে বিশেষভাবে কাজ করে।

৫) ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে –
আমাদের মুটিয়ে যাওয়ার প্রথম ও প্রধান কারণ দেহে ফ্যাট জমা। চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৩% নিয়াসিন যা ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনকে এনার্জিতে পরিবর্তন করে এবং দেহে ফ্যাট জমতে বাঁধা দেয়।

৬) বিষণ্ণতা দূর করে –
মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রায় ৩৪৭ মিলিগ্রাম ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষকদের মতে এই ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কে সেরেটেনিন উৎপন্ন করে যা বিষণ্ণতা দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক।

৭) মুত্রথলির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে–
গবেষণায় দেখা যায় জিংক মুত্রথলি সংক্রান্ত নানা রোগ ও ইনফেকশন থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। এমনকি মুত্রথলির ক্যান্সারের হাত থেকেও রক্ষা করে। চিংড়ি মাছের ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় ১০-১৫ মিলিগ্রাম জিংক যা আমাদের মুত্রথলির সুস্থতা নিশ্চিত করে।

৮) থাইরয়েডের সমস্যা দূর করে –
চিংড়িমাছের প্রায় ১০% কপার আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

৯) ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে –
চিংড়িতে রয়েছে ৮% ম্যাগনেসিয়াম। গবেষণায় দেখা যায় ম্যাগনেসিয়াম দেহকে টাইপ ২ ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে। এবং রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

১০) ত্বক, চুল ও নখের সুরক্ষা করে –
চিংড়িমাছ আমাদের দেহের প্রায় ৪২% পর্যন্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে। যা আমাদের ত্বক, চুল এবং নখের সুরক্ষায় কাজ করে। এবং এই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ না হলে দামী ব্যান্ডের কোনো প্রোডাক্টের মাধ্যমেই ত্বক, চুল ও নখের সুরক্ষা সম্ভব নয়।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

কমলার খোসার রকমারি গুণাগুণ!


কমলার খোসায় রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। কমলালেবু খাওয়ার পর সাধারণত আমরা এর খোসা ফেলে দেই। কারণ আপাত দৃষ্টিতে এর কোনো গুণাগুণ আমরা খুঁজে পাই না। কিন্তু অনেকেই জানি না যে এই কমলার খোসার রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও ব্যবহার। অন্যান্য অনেক ফলের খোসার চেয়ে কমলার খোসার গুণাগুণ অনেক বেশি।

কমলাতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান বিদ্যমান; যা হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। কমলার পাশাপাশি এর খোসারও অনেক গুণ রয়েছে।

তাহলে চলুন দেখে নেই কমলার খোসার বিভিন্ন ব্যবহার:

১) অনেকদিন ব্যবহারের ফলে ফ্রিজে যে দুর্গন্ধ হয় তা দূর করতে কমলার খোসাতে লবণ ছড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন। অল্প সময়ের মধ্যে এর সুফল পাওয়া যাবে।

২) কাঠের আসবাব পরিষ্কার করতে ব্যবহার করতে পারেন কমলার খোসা। এর জন্য দুই সপ্তাহ ভিনেগারে ডুবিয়ে রাখুন কমলার খোসা। খোসা ফেলে দ্রবণটি স্প্রে বোতলে নিয়ে কাঠের আসবাবে স্প্রে করুন। এরপর শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।

৩) জুতার তলায় আলকাতরা বা অন্য যেকোনো ধরনের কালি লাগলে তা দূর করতে কমলার খোসা ব্যবহার করা যায়।

৪) কমলার খোসা দিয়ে দৃষ্টিনন্দন প্রদীপ তৈরি করা যায়। ইচ্ছে মতো নকশা করে নিতে পারেন খোসা। কমলার খোসা ছাড়ানোর আগে লক্ষ্য রাখতে হবে, কমলার গোড়ার সাদা আঁশের মতো অংশ যেন খোসার সঙ্গে খুলে না যায়। এরপর সাদা আঁশ আঙুল দিয়ে সলতের মতো করে ভেতরে তেল দিন। আর সলতের মাথায় আগুন দিন।

৫) কাপড়ের আলমারির ভ্যাপসা গন্ধ দূর করতে পাতলা প্লাস্টিকে কমলার খোসা নিয়ে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে তা ফেলে দিয়ে আবার নতুন করে কমলার খোসা রেখে দিন।

৬) চুল ঝলমলে করতে ব্যবহার করা যায় কমলার খোসা। খোসাসহ একটি কমলা ব্লেন্ড করে চুলে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। চুল হবে উজ্জ্বল ও ঝলমলে।

৭) বয়ামে রাখা চিনি শক্ত হয়ে গেলে কয়েক টুকরা কমলার খোসা দিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন। দলা ভেঙে যাবে।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

৮টি রোগ সারাতে ম্যাজিকের মত কাজ করে বেদানা!


বাতের ব্যথা কাবু করে ফেলেছে আপনাকে? বাড়ছে ব্লাড প্রেসার? আটকাতে চান ক্যানসার, বা হার্টের মারত্মক অসুখ? জানেন কি বেদানাই করতে পারে মুসকিল আসান। এই ফলের দানায় দানায় রয়েছে ম্যাজিক। খাদ্যগুণে ভরপুর বেদানার প্রতিটা দানা।

গবেষণা বলেছে, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর বেদানা। রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C আর ভিটামিন K। পটাশিয়ামে সম্বৃদ্ধ বেদানা। ফাইবার আর প্রোটিনের উৎসও এই ফল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ বেদানা ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রমাণিত বেদানা ক্যানসারাস কোষগুলির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে দারুন ভাবে কাজে দেয় বেদানা।

ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ন্ত্রণেও কাজে দেয় এই ফল।বেদানার রস হার্টের অসুখের সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। অ্যান্টিঅক্সিডান্টে ভরপুর বেদানার রস ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তচাপ কমাতেও দারুন ভাবে কাজে দেয় বেদানা। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে বেদানার রস। অ্যালঝাইমার্সের ক্ষেত্রে কাজে দেয় এই ফল। ব্যথা কমাতেও বেদানার জুড়ি নেই। গাঁটের ব্যথা থেকে বাতের যন্ত্রণা কমাতে পারে বেদানাই।
ব্যাকটিরিয়া আর ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল করতেও বেদানা দারুন কাজে দেয়৷
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

থানকুনি পাতার অসাধারণ কিছু উপকারিতা!


'থানকুনি’ একটি পরিচিত নাম। শাক বলুন বা পাতা, এর উপকারিতা অনেক। অঞ্চলভেদে এটি টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধুলাবেগুন, আদাগুনগুনি নামে পরিচিত। ইংরেজি নাম ইন্ডিয়ান পেনিওয়ার্ট (Indian Pennywort)।

স্বাদটা একটু তিতকুটে, তবে বেশ কার্যকর। অসংখ্য রোগের উপশম মেলে এই থানকুনি পাতা খেলে।

জেনে নেই থানকুনি পাতার উপকারিতা-
১. বেগুন/পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

২. থানকুনি পাতার রস ১ চামচ ও শিউলি পাতার রস ১ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর সারে।

৩. অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভালো করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি কার্যকর।

৪. আধা কেজি দুধে ২৫০ গ্রাম মিশ্রি ও ১৭৫ গ্রাম থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভালো হয়।

৫. ২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে।

৬. প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু/ মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভালো হয়।

৭. যেসব বাচ্চা কথা বলতে দেরি করে অথবা অস্পষ্ট, সে ক্ষেত্রে ১ চামচ করে থানকুনি পাতার রস গরম করে ঠাণ্ডা হলে ২০/২৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে ঠাণ্ডা দুধের সাথে কিছুদিন খাওয়ালে সমস্যা সেরে যায়।

৮. প্রতিদিন সকালে ৫/৭টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভালো হয়। থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় ভালো হয়।

৯. থানকুনি পাতা বেটে গরম ভাতের সাথে খেলে পেটব্যথা ভালো হয়।

১০. প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভালো হয়।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

অসংখ্য রোগের মহৌষধ নারিকেলের পানি!


নারিকেল একটি সুস্বাদু ফল৷ কাঁচা অবস্থায় একে ডাব বলা হয়, যার পানি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। নারিকেলের পানি, নারিকেলের দুধ ও নারিকেলের তেল পুষ্টিগুণে ভরপুর এক উৎকৃষ্ট খাবার। নারিকেলের শাঁসে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, চর্বি, প্রোটিন, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, বি৯, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিংক ও পর্যাপ্ত ক্যালরি। নারিকেল আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। এবার আপনাদের জানাবো নারিকেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা-

১। হার্ট ভাল রাখে:
শ্রীলঙ্কায় প্রধান খাবার হলো নারিকেল; সেখানেকার মানুষের কোলেস্টেরল বা হার্টের সমস্যা অনেক কম। নারিকেলে যে ফ্যাটি এসিডের চেইন গুলো আছে সেগুলো কোলেস্টেরল বাড়ায় না বরং এথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকি কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে।

২। রোগ দূর করে:
যে সব ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, হার্পিস, মামস ইত্যাদি রোগ জন্ম দেয়, নারিকেল সেসব ভাইরাসগুলোকে নষ্ট করে ফেলে। ফলে এধরণের অসুখ-বিসুখ থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায়। চিকন ও হাড্ডিসার রোগীদের মাংশপেশী গঠনে, পাকস্থলীর ক্ষত ও গলার ঘা সারাতে নারিকেল অত্যন্ত কার্যকর।

৩। শরীরের শক্তি বাড়ায়:
নারিকেল শরীরের শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং কর্ম উদ্দীপনা জাগাতে সহায়তা করে। হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামাইনো এসিড শোষন করে নিতে সহায়তা করে। নারিকেল রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখে এবং ডায়াবেটিস জনিত কারণে শরীরের ক্ষতি রোধ করে।

৪। শরীরের দুর্বলতা দূর করে:
নারিকেল খাওয়ার পর এর তৈলাক্ত অংশ কোষে পৌঁছে যায়। কোষ এটি শোষণ করে মুহূর্তেই শক্তিতে পরিণত করে। আমাদের শরীরের দুর্বলতা দূর হয় সহজেই। কিডনির জটিলতায় নারিকেলের পানি উপকারী। জলবসন্ত ও হামের দানা কমাতেও নারিকেলের পানি ভূমিকা রাখে।

৫। ত্বকের জন্য উপকারী:
নারিকেলের পানি ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। নারিকেলে থাকা অরগানিক আয়োডিন সাধারণ গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধে ভুমিকা রাখে। নারিকেল আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করতে সহায়তা করে। দাঁত ও হাড়ের গঠনে এটি ভূমিকা রাখে।

৬। ওজন কমায়:
ওজন কমাতেও সহায়তা করে নারিকেলের পানি। এছাড়াও বহুমুত্রে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডাবের পানি খুবই উপকারী।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

Thursday, February 28, 2019

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু ও কালিজিরা খাওয়ার উপকারিতা!


তারুণ্য ধরে রাখতে মধ্যপ্রাচ্যে কালিজিরা খাওয়াটা দীর্ঘদিনের রীতি। কাজ করার শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে এই কালিজিরা।
সরাসরি খাওয়ার থেকে প্রথম প্রথম ভাত বা রুটির সঙ্গে কালিজিরা খাওয়াটা অভ্যাস করুন।
প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ খাবারের সঙ্গে ‘কালিজিরা’ গ্রহণ করে আসছে। কালিজিরার তেলও আমাদের শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারি।
কালিজিরার তেলে ১০০টিরও বেশি উপযোগী উপাদান আছে। এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি।

১. রোগ প্রতিরোধে কালোজিরা: কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে।
এটি যেকোনো জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা: কালোজিরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা: কালোজিরা নিম্ন রক্তচাপ বৃদ্ধি করে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দেহের কলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে শরীরে রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখে।

৪. যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে কালোজিরা: কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কালোজিরা খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এটি পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনাও তৈরি করে।

৫. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে কালোজিরা: নিয়মিত কালোজিরা খেলে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে; যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৬. হাঁপানী রোগ উপশমে কালোজিরা: হাঁপানী বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা সমাধানে কালোজিরা দারুণ কাজ করে। প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা খেলে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা উপশম হয়।

৭. পিঠে ব্যাথা দূর করে কালোজিরা: কালোজিরার থেকে তৈরি তেল আমাদের দেহে বাসা বাঁধা দীর্ঘমেয়াদী রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া সাধারণভাবে কালোজিরা খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

৮. শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে কালোজিরা: নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ালে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। কালোজিরা শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে।

[] কালোজিরার ব্যবহার:
১. তিলের তেলের সাথে কালিজিরা বাঁটা বা কালিজিরার তেল মিশিয়ে ফোড়াতে লাগালে ফোড়ার উপশম হয়।
রুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে কালিজিরা সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কালিজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

২. চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।

৩. কালোজিরা চূর্ণ ও ডালিমের খোসাচূর্ণ মিশ্রন, কালোজিরা তেল ডায়াবেটিসে উপকারী।

৪. চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ ও বিগলিত হয়।

৫. মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

৬. কফির সাথে কালোজিরা সেবনে স্নায়ুবিক উত্তেজনা দুরীভুত হয়।

৭. জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়।

৮. কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না।

৯. সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।

১০. মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

১১. দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।

১২. কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে।

১৩. কালিজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক।

১৪. দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে।

১৫. নারীর ঋতুস্রাবজনীত সমস্যায় কালিজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

১৬. কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। এর তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপূর্ণ নিদ্রা হয়।

১৭. প্রসূতির স্তনে দুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য, প্রসবোত্তর কালে কালিজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কালিজিরা খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে।

১৮. প্রস্রাব বৃদ্ধির জন্য কালিজিরা খাওয়া হয়।
১৯. কালোজিরা যৌন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য অতি উৎকৃষ্ট ঔষধ।

প্রতিদিন ২১টি কালোজিরার ১টি পুটলি তৈরী করে পানিতে ভিজাবে এবং পুটলির পানির ফোঁটা এ নিয়মে নাশারন্দ্রে (নাশিকা, নাক) ব্যবহার করবে-প্রথমবার ডান নাকেরছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। দ্বিতীয়বার বাম নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং ডান নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। তৃতীয়বার ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা ও বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

কলার সঙ্গে দই? ও রকমারি কিছু! যা ঘটবে শরীরে!


পালংও উপকারী, আবার পাতিলেবু। জানেন কি এই দুইয়ের যুগলবন্দিতে কী হবে? কেন দইয়ের সঙ্গে কলা খাবেন? বা ডিমের সঙ্গে চিজ?

পালং শাকের সঙ্গে লেবু: পালং শাকের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রন। ফলে যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন তাদের খাদ্যতালিকায় পালং শাক থাকাটা বাঞ্ছনীয়। এর সঙ্গে যদি পাতিলেবু মিশিয়ে নিতে পারেন তো কথাই নেই। তাতে পালং শাকের আয়রন আরও সহজে শরীর শোষণ করতে পারে।

স্ট্রবেরির সঙ্গে পালংশাক: স্ট্রবেরিতে রয়েছে ভিটামিন-সি আর পালংশাকে আয়রন। আয়রনের অভাবে ক্লান্তি, পেশিদুর্বলতা দেখা দেয়। গোছা গোছা চুল পড়ে। তাই বিশেষত মেয়েদের ভিটামিন সি-র সঙ্গে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। স্ট্রবেরির সঙ্গে পালংশাক যথাযথ কম্বিনেশন।

টোম্যাটোর সঙ্গে অলিভ অয়েল: টোম্যাটোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট লাইকোপেন ও ক্যারোটিনয়েড। টোম্যাটোর পুরো গুণ পেতে হলে এর সঙ্গে অলিভ অয়েল মেশালে ভালো। এতে কোলেস্টেরল ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ হবে। ক্যানসার প্রতিরোধেও এর তুলনা নেই।

মাছের সঙ্গে কারি মশলা: মাছ খেতে হলে একসঙ্গে হলুদ, জিরে ও ধনে পাতা বেটে রান্না করুন। তাতে হার্টের পক্ষে উপকারী ওমেগা থ্রি-র উপকার পাবেন। মাছে রয়েছে ডিএইচএ ও ইপিএ ফ্যাট, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

বেরি খেলে মিক্সড বেরি খান: মানে ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি সব একসঙ্গে খান। কারণ অনেক বেশি পুষ্টিদায়ক।

কলার সঙ্গে দই খান: এটা আপনার ঠিকঠাক ব্রেকফাস্ট হতে পারে। কলার মধ্যে রয়েছে পটাসিয়াম, দইয়ে আছে হাইপ্রোটিন। তাই কলা ও দই একসঙ্গে খেলে পেশি সুগঠিত হয়। অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ করে।

ডিমের সঙ্গে চিজ: হাড়ের গঠন মজবুত করতে ক্যালসিয়াম জরুরি। এ ক্যালসিয়াম অ্যাবজর্ভ করার জন্য লাগে ভিটামিন ডি।
খুব কম খাবারেই ভিটামিন ডি রয়েছে। তার মধ্যে একটি ডিমের কুসুম। ডিমের ওমলেট খেলে পরিমাণ মতো চিজ মিশিয়ে নিন। তাতে ভালো ফল পাবেন।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

খেজুরের অসাধারণ সব উপকারিতা!


গবেষকেরা জানিয়েছেন, খেজুর দিয়ে ইফতার করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ কারণেই বিশ্বজুড়ে রমজান মাসে মুসলমানরা ইফতারিতে খেজুর আর পানি রাখেন। অত্যন্ত পুষ্টিকর এই খাবারটি সম্পর্কে জানুন-

১. ডায়েটারি ফাইবারঃ
ডায়েটারি ফাইবার আসে দ্রবীভূত ও অদ্রবীভূত আঁশ থেকে। খেজুর উভয়টারই বিপুল উৎস। এটা আমাদের হজমশক্তি ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেয়।

২. পলিফেনলঃ
গবেষকদের মতে শুকনা খাবারের মধ্যে খেজুরেই সবচেয়ে বেশি পলিফেনল থাকে। বিপজ্জনক অনেক রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করতে সহায়তা করে এই পলিফেনল।

৩. কার্বোহাইড্রেটঃ
খেজুরের ৭৫ ভাগই কার্বোহাইড্রেট। সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারিতে খেজুর খুব তাড়াতাড়ি আমাদের শক্তি ঘাটতি পূরণ করে৷

৪. পটাশিয়ামঃ
আমাদের হৃদযন্ত্রের সহ সকল পেশির সংরক্ষণে পটাশিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। দেহের নার্ভ সিস্টেম মেটাবলিজম ঠিক রাখতে এর প্রয়োজন অনস্বীকার্য। খেজুরের চেয়ে ভালো পটাশিয়াম উৎস আর হয় না। এ কারণে অনেকেই প্রতিদিন একটি করে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৫. বি-কমপ্লেক্স ভিটামিনঃ
খেজুরে বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন- থিয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি-৬ এবং প্যান্টোথেনিক এসিড রয়েছে। দেহকে স্বাস্থ্যবান রাখতে এসব ভিটামিনের জুড়ি নেই। 

৬. ম্যাগনেশিয়ামঃ
এর ঘাটতিতে মাইগ্রেন, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, হাঁপানি ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। কিন্তু খেজুর খেলে এসব রোগ নিয়ে আপনার চিন্তা করার কিছু থাকবে না। কারণ খেজুরে বিপুল পরিমান ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। 

৭. আয়রনঃ
খেজুর আয়রন বা লোহার সমৃদ্ধ যোগানদাতা। আমাদের রক্তের লোহিত কনিকা এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। এই আয়রন রক্তে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়।

৮. আলকালিন লবণঃ
খেজুরে থাকা আলকালিন লবণ রক্তের অ্যাসিডিটি সমন্বয় করতে সহায়তা করে। মাত্রাতিরিক্ত গোশত ও কার্বোহাইড্রেট খেলে ডায়াবেটিস, বাত, পিত্তথলের পাথর, গল ব্লাডারে সমস্যা দেখা দেয় অালকালিনের ইমব্যলেন্স হয়ে। এমন অবস্থায় খালি পেটে প্রথম আদর্শ খাবার হতে পারে খেজুর।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

দুধ ও কলা একসাথে খেলে আপনার শরীরের কি উপকার করে জানেন? জানলে চমকে যাবেন!


দুধ পান কিংবা কলা খাওয়ার উপকারিতা সবারই জানা আছে৷ কিন্তু যদি দুটোই একই সাথে খাওয়া হয় তবে কিন্তু উপকারিতা বা লাভ আরো বেড়ে যায় তা কি লক্ষ্য করেছেন? এটিকে দুধ-কলা ডায়েট বলা হয়৷ ১৯৩৪ সালে ডা. জর্জ হারোপ দুধ-কলা ডায়েট প্রোগ্রাম তৈরি করেছিলেন। চলুন জানা যাক এর উপকারিতা:

১. ক্যালরি: এই খাবারটিতে প্রচুর ক্যালরি আছে৷ সাধারণত তিনটি কলা ও এক কাপ ফ্যাটমুক্ত দুধ খেতে হয়৷ কলা ও দুধ আগে পরেও খাওয়া যায়৷ এটি আপনার ত্বক মশৃণ করবে৷ তবে এর পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হয়৷ এর দ্বারা আপনি দৈনিক এক হাজারের মত ক্যালরি পাবেন৷
প্রতিটি কলায় ১০০ ক্যালরি শক্তি থাকে৷ আর এক কাপ দুধে ৮০ থেকেও বেশি ক্যালরি থাকে৷ তাই দৈনিক তিনবার ৯০০ ক্যালরি পাওয়া যায়৷ এই ক্যালরি ওজন কমাতে সহায়ক৷

২. ত্বক ও দাঁতের যত্নে: কলা-দুধ ডায়েট ত্বক উজ্জ্বল ও মশৃণ করে৷ ব্রণের চিহ্ন দূর করে৷ দাঁত সাদা করতে এটি খুবই কার্যকরি৷ এটি আপনার সৌন্দর্য বাড়াতে সক্ষম৷

৩. পুষ্টিতে ভরপুর কলা: কলায় প্রচুর ভিটামিন এ, বি, সি ও ই রয়েছে৷ এতে খনিজ, পটাশিয়াম, জিংক, আয়রন রয়েছে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারি৷

৪. ফ্যাটমুক্ত দুধের গুণ: এতে চর্বির মাত্রা কম বা থাকেই না৷ তাই এটি কোলোস্টেরল কমাতে খুবই উত্তম আহার৷ ফ্যাটমুক্ত দুধে ফ্যাট বা চর্বি ছাড়া বাকি উপাদানগুলো যথাযথ পরিমাণে থাকে৷ দুধের প্রোটিন মাংসপেশী মজবুত করে৷
যখন দুধ-কলা একসাথে খাওয়া হয় তখন শরীর প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার অথবা খনিজ পদার্থের যোগান হয়৷ এই ডায়েট প্রোগ্রামে কোন ফ্যাট থাকে না৷ এই খাবার একবার খেলে তিন চারদিনের শক্তির যোগান হয়ে যায়৷

সাবধানতা: ওজন কমানোর জন্য আপনি শুধু এই কলা-দুধ ডায়েটের উপর নির্ভর করতে পারেন৷ তবে এতে শরীরে ক্যালরির যোগান কিছুটা কম হওয়ায় দূর্বল লাগতে পারে৷ সেক্ষেত্রে দিনে দুইবার খেতে হবে৷ আর একবার অল্পকিছু স্বাভাবিক খাবার (ভাত ও অন্যান্য তরকারি) খেয়ে যান৷ মহিলাদের মাসিকের সময় এই প্রোগ্রাম পরিহার করতে হবে৷ কারণ এই প্রোগ্রামে আয়রনের ঘাটতি আছে৷
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

রূপচর্চায় আলুর ১৭টি অসাধারণ ব্যবহার!


আলু শুধু স্বাস্থ্যের জন্যেই নয়, রূপচর্চার জন্যেও দারুণ একটি জিনিস। এখানে জেনে নিন সৌন্দর্যবর্ধনে আলুর ১৭টি দারুণ ব্যবহারের কথা। 

১. চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে হলে আলু কেটে সেখানে লাগিয়ে রাখুন। 
২. চোখের ফোলা ভাব দূর করতে হলে আলু চাকতি করে কেটে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। বেশ আরামও পাবেন চোখে। 
৩. লেবু রস ও আলু ছেঁচে তার রস মিশিয়ে মুখের লাগান। কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। 
৪. আলুর রস পুরো মুখে লাগান। ব্রন নিরাময়ে ভালো কাজ দেবে। 
৫. মাঝারি সাইজের আস্ত একটি আলু ছেঁচে তাতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সুস্থতা ফিরে পাবে।
৬. একটি আলু ও একটি শসা একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও এক টেবিল চামচ পানি মেশান। এটি একটি দারুণ ক্লিনজার হিসেবে কাজ করবে। 
৭. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। তৈলাক্ত ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব দূর হবে। 
৮. একটি আলু ছেঁচে তাতে এক টেবিল চামচ দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকের বলিরেখা দূর করবে। 
৯. ত্বকের ওপরে হালকা জখম হলে তাতে আলু পাতলা করে কেটে লাগিয়ে রাখুন। প্রদাহ কমে যাবে। তবে বেশি ক্ষততে লাগাবেন না। 
১০. একটি ডিমের সাদা অংশ এবং আলু ছেঁচে তার রস নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। একটি ব্রাশ দিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মাস্কের কাজ করে। 
১১. আলু ছেঁচে তার রসে একটি টিস্যু বা পেপার টাওয়েল ভিজিয়ে নিয়ে ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এটি একটি উপকারী আলুর ফেস মাস্ক।
১২. আলুর রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ১০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ময়েশ্চারের অভাব দূর হবে। 
১৩. অতিবেগুনী রশ্মিতে ত্বক পুড়ে গেলে আলুর স্লাইস দারুণ কাজে দেয়। 
১৪. হালকা চুলকানি, লালচে ভাব হওয়া এবং পোকা-মাকড়ের কামড়ে আলু কেটে লাগালে যন্ত্রণা প্রশমিত হবে। 
১৫. রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে আলু ছেঁচে তার রস লাগালে তা চুলের ময়েশ্চারের কাজ করে। ১৬. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। শুষ্ক ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব চলে আসবে। 
১৭. কয়েকটি আলু সেদ্ধ করুন। খোসা ছাড়িয়ে এক ঘণ্টা ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার শুষ্ক চুলে এগুলো ঘষতে থাকুন। ধূসর চুলগুলো চকচকে হয়ে উঠবে। 
সূত্র : ইন্টারনেট
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

রূপচর্চা বিষয়ক টিপস!


১. কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে ঠোটে ঘষুন, কালো দাগতো উঠবেই সাথে ঠোটে গোলাপী ভাব আসবে।

২. কনুইয়ের কালো দাগ দূর করতে লেবুর খোসায় চিনি দিয়ে ভালো করে ঘষুন। চলে যাবে।

৩. ব্রনের উপর রসুনের কোঁয়া ঘষে নিন, তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে গ্যারান্টি।

৪. পেডিকিউর মেনিকিউর আপনার কাছে ঝামেলা লাগে? আরে আমি আছি না? আজ থেকে যখনই আপেল খাবেন তখনই আপেলের খোসাটা হাত পায়ে ঢলে নিন৷ ফর্সা হবে পরিস্কার হবে।

৫. পায়ের গোড়ালী ফাটলে, পেয়াজ বেটে প্রলেপ দিন। ক্রীম কিংবা স্ক্রাব এর ঝামেলায় যেতে হবেনা।

৬. প্রতিদিন টুথপেষ্ট দিয়ে দাত মাজেন কুলি করেন তবুও মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়? ব্যাপার না, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে টানা দুইমাস নিয়মিত দুই কোঁয়া করে কমলালেবু খান।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

৫ টাকায় কিডনি ক্লিন! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়!


তেল, ঝাল, মশলা খেয়ে হাত তো ঠিকই ধুচ্ছেন, তবে কিডনি কি পরিষ্কার করছেন? না, সে কি সম্ভব নাকি! উত্তর হবে- হ্যাঁ, সম্ভব। হাতের কাছেই আছে এর সমাধান। কীভাবে পরিষ্কার করবেন? জেনে নিন, কিডনি পরিষ্কারের ঘরোয়া উপায়। তাও আবার মাত্র পাঁচ টাকায়।

১. পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন এক আঁটি ধনেপাতা। 
২. এরপর কুচি কুচি করে কেটে একটি পাত্রে রাখুন। 
৩. পাত্রে কিছুটা পানি দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। 
৪. ঠান্ডা হলে ছেঁকে পরিষ্কার বোতলে রেখে দেন। ফ্রিজেও রেখে দেয়া যেতে পারে ওই বোতল। 
৫. এরপর প্রতিদিন একগ্লাস করে ধনেপাতার জুস খেলেই হাতেনাতে মিলবে ফল। 

কিডনির মধ্যে জমে থাকা লবণ এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। শুধু কিডনিই নয়। এক আঁটি ধনেপাতায় আছে ১১% ফাইবার, ৪% প্রোটিন, ১% ক্যালরি, ১% কার্বোহাইড্রেট, ১% ফ্যাট। ম্যাঙ্গানিজ ২১%, পটাসিয়াম ১৫%, কপার ১১%, আয়রন ১০%, ক্যালসিয়াম ৭%। এতে রয়েছে ৩৮৮% ভিটামিন k, ১৩৫% ভিটামিন A, ৪৫% ভিটামিন C, ১৬% ফলেট।

বছরের পর বছর, দিনের পর দিন কিডনি ঠিক এভাবেই ছাঁকনির কাজ করে চলে। লবণ, বিষ এবং অবাঞ্ছিত পদার্থ শরীরে ঢুকতে বাধা দেয়। কিন্তু কিডনি অকেজো হয়ে গেলে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য রক্তে জমা হয়। তখন বেঁচে থাকাই মুশকিল।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ |Home Laboratory

ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুণ শক্তিশালী ফল আবিষ্কার!


ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি অন্যতম। এই চিকিৎসা চলাকালীন ক্যান্সার রোগীর গায়ের সব লোম উঠে যায়। একই সঙ্গে শরীরও দুর্বল হয়ে যায়। জানেন কি, এমন গাছ আছে, যার ফল কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুণ শক্তিশালী? অথচ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। ফলটির নাম করোসল (corossol)। করোসল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধক।

বাংলাদেশের নীলফামারির খড়িবাড়ি গ্রামের ফলন শুরু হয়েছে এই গাছের। বিভিন্ন দেশ ঘুরে চারা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা তাঁর বাগানে এই গাছ লাগান। সেই গাছে ফলও ধরেছে। ক্যান্সার রোধে করোসলের উপকারিতা পৃথিবীর বহু দেশেই প্রমাণিত। এই ফলের অন্য নামগুলি হল, গ্র্যাভিওলা, সোরসপ, গুয়ানাভা ও ব্রাজিলিয়ান পাও পাও। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ফলের এতটাই গুণ, এই ফল খেলে ক্যান্সাররোগীর কেমোথেরাপির প্রয়োজন হয় না। শরীরও চাঙ্গা থাকে, দুর্বল ভাব আসে না।

মূলত, আমাজন নদীর উপত্যকা- দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে করোসল প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। শুধু ফলই নয়, এই গাছের ছাল ও পাতায় লিভার সমস্যা, আর্থরাইটিস ও প্রস্টেটের সমস্যায়ও নিরাময় হয়ে যায়। কীভাবে কাজ করে করোসল? করোসল গাছে রয়েছে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাস্টোজেনিন নামে এক ধরনের যৌগ। এই যৌগ ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয়, যা কেমোথেরাপি করে।

ফলে ক্যান্সার কোষ আর বাড়তে পারে না। এছাড়া নিয়মিত এই ফল খেতে পারলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়। রক্তকে শোধিত করতেও এই ফলের গুণ অনস্বীকার্য।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

৫ বছরে একবার খান, রোগভোগ ভুলে যান, জেনে নিন কীভাবে বানাবেন!


এ ওষুধ পাল্লা দিবে প্রফেসর শঙ্কুর ‘মিরাকিউরলে’র সঙ্গেও! আর এর জন্য স্বর্ণপর্ণীর খোঁজেও যেতে হবে না আপনাকে। কারণ এর মূল উপকরণটি মিলবে আপনার রান্নাঘরেই। হ্যাঁ, জানেন কি আপনার সবজির ঝুড়িতেই অনাদরে পড়ে আছে সেই সর্বরোগনাশক ‘বটিকা ইন্ডিকা’?

এ এমন একটি ওষুধ যা পাঁচ বছরে মাত্র একবার খেলেই যথেষ্ট। এই ওষুধ বা বলা যেতে পারে এই বিশেষ মিশ্রণ মাত্র একবার খান আর পাঁচ বছরের জন্য অসুখ-বিসুখের হাত থেকে নিশ্চিন্ত হয়ে যান। ভাবছেন, এ আবার এমন কি, যা একবার খেলে পাঁচ বছর কোনও অসুখ হবে না?
আজ নয়, চমৎকার এই ওষুধের আবিস্কার পাঁচ হাজার বছর আগে। এক তিব্বতি সন্ন্যাসী হাত ধরে এই মিশ্রণের জন্ম। এই মিশ্রণের প্রধান উপকরণ হল রসুন। সারা বিশ্বেই রসুনকে এক চমৎকারী খাবার হিসেবে মনে করা হয়।

উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টরল, হার্ট অ্যাটাকের মতো একাধিক অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ করে রসুন। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন এই ওষুধ। ৩৫০ গ্রাম রসুনের সঙ্গে ২০০ এমএল অ্যালকোহল মেশাবেন। রাম হলে ভালো হয়। রাম না হলে যে অ্যালকোহল-ই মেশান, মনে রাখবেন যেন তাতে মিথানল বা বেনজালকোনিয়াম ক্লোরাইড না থাকে। প্রথমে খোসা ছাড়িয়ে রসুন চটকে নিন। এরপর এতে অ্যালকোহল মেশান। স্টেরিলাইজ করা কাঁচের বোতলে ১০ দিন রেখে দিন এই মিশ্রণ। ১০ দিন পর বোতল থেকে মিশ্রণ অন্য কোথাও ঢেলে আবার ওই বোতলে রেখে দিন। আরও দিন দুয়েকের জন্য মিশ্রণ ফ্রিজে ভরে রাখুন। ব্যস আপনার ম্যাজিক ওষুধ তৈরি। এবার ১২ দিন ধরে ব্রেকফাস্টের আগে এই মিশ্রণের এক ফোঁটা, লাঞ্চের আগে এক ফোঁটা এবং ডিনারের আগে দু-তিন ফোঁটা খেয়ে ফেলুন। চমকে উঠবেন এর রেজাল্ট দেখে।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

কিসমিসের বহুবিধ উপকারিতা !


আগেই বলে রাখি, ছোট পোস্ট দেখে অবহেলা করবেন না, মনোযোগ দিয়ে পড়ুন-

১। দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
২। এর অলিনলিক এসিড যা মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
৩। মুখের ব্যাকটেরিয়া কমাতে সহায়তা করে।
৪। নিয়মিত কিশমিশ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৫। শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করে।
৬। এর পলিফেনোলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে টিউমার কোষ গঠন রোধ করে।
৭। এর ফিটোনারিয়েন্ট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের জন্য খুবই উপকারী।
৮। আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় হাড় মজবুত করে।
৯। হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
১০। অনিদ্রা ও মাথাব্যথা দূর করতে সহায়তা করে।
১১। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

আমাদের ছোট খাটো টিপসগুলো অবহেলা করবেন না। আপনাদের সুন্দর জীবন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

Wednesday, February 27, 2019

নিয়মিত ঘৃতকুমারী রস পানের ৭টি বিস্ময়কর উপকারিতা!


অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অতি পরিচিত একটি উদ্ভিদের নাম। বহুগুণে গুণান্বিত এই উদ্ভিদের ভেষজ গুণের শেষ নেই। এতে আছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিকঅ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন এ, বি৬, বি২ ইত্যাদি। অ্যালোভেরার জেল রুপচর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবহার হয়ে আসছে। অনেকেই অ্যালোভেরা জুস পান করে থাকেন। আপনি জানেন কি প্রতিদিন অ্যালোভেরা জুস পান করার উপকারিতা?

১। হার্ট সুস্থ রাখতে: আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে থাকে। এটি দীর্ঘদিন আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।

২। মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ: অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়।

৩। দাঁতের যত্নে: অ্যালোভেরা জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। এতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৪। ওজন হ্রাস করতে: ওজন কমাতে অ্যালভেরা জুস বেশ কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যাণ্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগণ এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৫। হজমশক্তি বাড়াতে: হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জুসের জুড়ি নেই। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে। যা হজমশক্তি বাড়িয়ে থাকে।

৬। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে: অ্যালোভেরা জুস রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। ডায়াবেটিসের শুরুর দিকে নিয়মিত এর জুস খাওয়া গেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। খাওয়ার আগে বা খাওয়ার পরে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করুন।

৭। ত্বকের যত্নে: ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

জেনে নিন, গমের ঘাস খেলে কী হয়?


১.গম-ঘাসের জুস মানেই সতেজ ক্লোরোফিল। আর ক্লোরোফিল মানব দেহের জন্য বেশ উপকারি। এটি সবুজ গাছ ছাড়া আর কিছুতেই পাওয়া সম্ভব নয়।

২. মানুষ যত ধরনের খনিজ পদার্থের নাম শুনেছে তার প্রায় সবই আছে গমের ঘাসে। এই প্রাকৃতিক ঘাসে আছে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি, ই, ১ ও কে। আছে প্রোটিন ও ১৭ ধরনের অ্যামাইনো এসিড। গমের ঘাসে আরো আছে পটাশিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নায়াসিন, বি-৬, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, আয়রন, জিংক, কপার, ম্যাংগানিজ ও থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা ঠেকানোর উপাদান সেলেনিয়াম। প্রতি ২৮ গ্রাম (যাকে বলে এক শট) হুইটগ্রাসে আছে ১ গ্রাম প্রোটিন।

৩. হুইটগ্রাসের ৭০ ভাগই হলো বিশুদ্ধ ক্লোরোফিল। যা রক্ত তৈরির একটি অন্যতম উপকরণ।

৪. ক্লোরোফিলে রয়েছে অনেক উপকারী এনজাইম। এগুলো কোষের সুপারঅক্সাইড র্যাডিকেলগুলোকে ধ্বংস করতে পারে। যার মাধ্যমে বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনগুলো ধীরেসুস্থে আসে।

৫. ক্লোরোফিল তৈরি হয় আলোর মাধ্যমে। আর তাই আলোর ভেতর যে শক্তি সেটাও মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে গমের ঘাসের মাধ্যমে।

৬. গমের ঘাসের ক্লোরোফিল সরাসরি মানবদেহে মিশে যায়। এখন পর্যন্ত এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বের হয়নি।

৭. বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন হুইটগ্রাসের ক্লোরোফিলের কারণে অপকারী ব্যাকটেরিয়া বেড়ে উঠতে পারে না।

৮. গমের ঘাসে থাকা ক্লোরোফিল প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। শরীরের ভেতরে ও বাইরে এটি ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে সমান কার্যকর।

৯. তরল ক্লোরোফিল আমাদের টিস্যুতে সরাসরি দ্রবীভূত হতে পারে। এটি টিস্যুকে নতুন করে গড়ে তুলতে পারে।

১০. শরীরে জমে থাকা নানান ওষুধের উচ্ছিষ্ট ধুয়ে ফেলতে পারে এই গমের ঘাস।

১১. শরীরে থাকা নানান দূষিত পদার্থকে পরিষ্কার করে হুইটগ্রাসের ক্লোরোফিল। এতে করে একইসঙ্গে কিডনিও পরিষ্কার হয়।

১২. গমের ঘাসের ক্লোরোফিল রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তাই গমের ঘাসের জুস একটি আদর্শ হার্বাল দাওয়াই হতে পারে।

১৩. ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, আলসার, কানের জ্বালাপোড়া, চামড়ার পুনর্গঠন, সাইনাসাইটিস ইত্যাদির চিকিৎসায় ক্লোরোফিল বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

১৪. গমের ঘাসের জুস নিয়মিত সেবনে হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসেরও কার্যক্ষমতা বাড়ে।
১৫. এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়।
১৬. হুইটগ্রাস রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াতে পারে।
১৭. মানুষ ছাড়াও যেকোনো প্রাণীর জন্য সব ধরনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে গমের ঘাস।
১৮. এটি গাজরের মতো অন্য যেকোনো সবজির চেয়ে কয়েক গুণ বেশি পুষ্টিকর।
১৯. পোষা পাখিসহ খামারের মুরগিকেও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য খাওয়ানো হয় এই হুইটগ্রাস। তবে মানুষের ক্ষেত্রে এটাকে জুস বানিয়ে নিতে হয়।
২০. মুখের পায়োরিয়ার চিকিৎসায় গমের ঘাসের মিশ্রণ লাগিয়ে রাখলে বা এই ঘাস চিবুলে উপকার পাওয়া যায়।
২১. আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসাতেও রয়েছে এর ব্যবহার। আক্রান্ত অংশে ১০০ গ্রাম হুইটগ্রাসের দ্রবণ বানিয়ে সেটাকে তুলোয় ভিজিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।

২২. মাথার চামড়ায় গমের ঘাসের বাটা মাখিয়ে ১৫ মিনিট ঢেকে রাখলে খুসকির সমস্যা দূর হবে।
২৩. এতে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম আছে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়াতে পারে গমের ঘাসের জুস।
২৪. শরীরে থাকা অপকারী ভারি ধাতু দূর করতে পারে।
২৫. নিয়মিত গমের ঘাসের জুস সেবনে শরীরে শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়বে। এ ছাড়া এতে থাকা অক্সিজেন মন খারাপ ভাবও তাড়াতে পারে।

কীভাবে বানাবেন?
এতসব গুণে ভরপুর গমের ঘাস চাইলে ঘরেই বানাতে পারেন।
১. বাজার থেকে ভালো মানের গমের বীজ কিনে আনুন।
২. ভালো করে ধুয়ে এক রাত ভিজিয়ে রাখুন।
৩. এরপর বীজগুলোকে ভালো করে ধুয়ে একটা বাক্সে রাখুন। খেয়াল রাখবেন যাতে বীজের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি স্প্রে করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শুকিয়ে ফেলা যাবে না।
৪. বীজে ছোট ছোট সাদা শেকড় গজানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ট্রেতে সারযুক্ত মাটির একটা পরত বিছিয়ে দিন। মাটি ছাড়াও গজাতে পারে গমের চারা। তবে মাটিতে তাড়াতাড়িই গজাবে।
৫. শেকড়যুক্ত বীজগুলোকে (যাকে বলে স্প্রাউট) মাটিতে সমানভাবে ছড়িয়ে দিন। বীজগুলোকে মাটিতে হাল্কা চেপে দিন। অথবা এর উপর ঝুরঝুরে মাটির আরেকটি পরত দিয়ে দিন।

৬. পানি স্প্রে করুন। মাটি ভেজা থাকবে। তবে কোনো অবস্থাতেই যেন পানি জমে না থাকে। ট্রেটাকে ভেজা পত্রিকা দিয়ে ঢেকে রাখুন। এভাবে সকাল বিকাল দুবেলা পানি স্প্রে করুন। কদিনের মধ্যেই চারা গজাবে। ১০ দিনের মধ্যেই চারাগুলো দুই ফালি হয়ে যাবে। তখনই কাচি দিয়ে কেটে ভালো করে ধুয়ে পুরে দিন ব্লেন্ডার বা জুসার-এ। বাড়তি কিছুই মেশাতে হবে না।
৭. গমের ঘাসের এ জুস ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। প্রতিদিন খালি পেটে ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেলে ভালো।

সুত্র: নূসরাত জাহান নিশা; মার্চ ৭, ২০১৭।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

Tuesday, February 26, 2019

মাথার চুল বৃদ্ধি বা নতুন চুল গজানোর একটি অবিশ্বাস্য পদ্ধতি!


বলা হয়ে থাকে চুল মানুষের সৌন্দর্যের আধার। চুল পড়ে গিয়ে টাক হয়ে যায়। সব বয়সের লোকদের কমবেশি চুল পড়ে থাকে। এমনকি যৌবনেও ঘটে। চুল পড়া একটি সাধারণ রোগ।

চিকিৎসকদের মতে, হরমনের পাশাপাশি প্রোটিন (আমিষ) ও ফ্যাটের (চর্বি) অভাবে মানুষের চুল পড়ে। বাড়িতে বসেই এক বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি আপনার চুলের সৌন্দর্য বাড়ান, চুল পড়া রোধ করুন ও মাথায় নতুন চুল গজান।

দইতে চর্বি ও উচ্চ ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। আমিষ ও চর্বিতে পরিপূর্ণ ডিম। এত প্রোটিন অন্য খাবারে পাওয়া যায় না। এ দই ও ডিম মিশিয়ে চুল পরিচর্যার রেসিপি বানানো যায়। চুলের রুক্ষতা ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এটা।

বিশেষত বাড়িতে বানানো এই রেসিপি চুল পরিষ্কার করে। শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি চুল গজাতে hair growth বেশ কার্যকরী। মোটের ওপর এটি চুলকে প্রাণবন্ত, স্নিগ্ধতা ও কোমল করার জন্য তুলনা নেই। ঝকঝকে ও স্বাস্থ্যকর চুল পেতে এই রেসিপি মাথায় খুলিতে ক্যলসিয়াম ও প্রোটিন সরবরাহ করে।

মধুও মাথার চুল বৃদ্ধিতে বেশ কাজে দেয়। এতে উপকারী বেশকিছু উপাদান রয়েছে- যেমন ভিটামিন-ই, কে, সি, বি১, বি২ ও বি৬। আর কলা চুলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে যুদ্ধ করে।

ডিম, মধু ও বিয়ারের মিশ্রণ আপনার চুল রক্ষায় অবিশ্বাস্য কাজ করে। বিয়ারে ভিটামিন-বি, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কপার রয়েছে, যা আপনার চুলকে শক্তিশালী ও চুল গজাতে দারুণ কাজে দেয়।

যেভাবে নতুন চুল গজানোর রেসিপি বানাবেন :
একটি ডিম অথবা এর শুধুমাত্র কুসুম, একটি কলা, এক অথবা দুই কাপ ঘন বিয়ার, এক টেবিল চামচ মধু নিন। এগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগান। এক থেকে দুই ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন। মাথা শুকানোর পর সাধারণভাবে ধুয়ে ফেলুন। মাথার চুল বৃদ্ধি বা নতুন চুল গজাতে এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

Sunday, February 3, 2019

এলার্জিকে বিদায় জানান চিরদিনের জন্য একদম বিনা পয়সায় !


এলার্জি বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের কাছে এক অসহনীয় ব্যাধি। এলার্জি হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য ও ওষুধের ভীষণ প্রতিক্রিয়া ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি সামান্যতম অসুবিধা করে, আবার কারো ক্ষেত্রে জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার করছেন? হঠাৎ করে হাঁচি এবং পরে শ্বাসকষ্ট অথবা ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন বা গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ ও গরুর দুধ খেলেই শুরু হলো গা চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠা। এগুলো হলে আপনার এলার্জি আছে ধরে নিতে হবে।

মানব জীবনে এলার্জি কতটা ভয়ংকর সেটা ভুক্তভোগী যে সেই জানে। উপশমের জন্য কতজন কত কি না করেন। এবার প্রায় বিনা পয়সায় এলার্জিকে গুডবাই জানান আজীবনের জন্য।

যা যা করতে হবে আপনাকে –
(১) ১ কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন।
(২) শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুড়ো করুন এবং সেই গুড়ো ভালো একটি কৌটায় ভরে রাখুন।
(৩) এবার ইসব গুলের ভুষি কিনুন। ১ চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুড়া ও এক চা চামচ ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।
(৪) আধা ঘন্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।
(৫) প্রতি দিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাত্রে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে।
(৬) কার্যকারীতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবে এবং এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন, গরু, চিংড়ি সহ অন্যান্য খাবার খেতে পারবেন।

চিকিৎসা: তবে অনেক দিন যাবৎ চুলকানি এবং এলার্জির সমস্যায় ভুগতে থাকলে অভিজ্ঞ এবং নিবন্ধনকৃত হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ মত কিছুদিন পরপর ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন, আশা করি আপনার এলার্জির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
(সংগৃহীত)

আমাদের বিভিন্ন হেলথ রেসিপি আইটেম এর আপডেট ফেসবুকে পেতে লাইক দিন আমাদের ফেসবুক পেজে।
ফেসবুক পেজের লিংক→
facebook.com/homelaboratory1

Home Laboratory | ভেষজ রেসিপিবুক

জেনে নিন, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পেয়ারা পাতার নানাবিধ উপকারিতা সম্পর্কে!


পেয়ারার স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন, কিন্তু পেয়ারা পাতার উপকারিতা কী তা জানলে সত্যি অবাক হতে হয়।
শরীরের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই নানারকম সমস্যা প্রতিরোধে পেয়ারা পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পেয়ারা পাতার উপকারিতা কী কী।

জেনে নিন-
১। ওজন কমাতে পেয়ারা পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের মধ্যেকার কমপ্লেক্স স্টার্চকে সুগারে পরিণত করতে সাহায্য করে।
২। গবেষণায় দেখা গেছে, পেয়ারা পাতা রক্তে আলফা গ্লুকোডাইজ এনজাইম অ্যাক্টিভিটির পরিমাণ কমিয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৩। গবেষণায় এটাও দেখা গেছে যে, প্রতিদিন চায়ের সঙ্গে পেয়ারার পাতা ফুটিয়ে তা পান করলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪। শরীরের কোনও অংশ কেটে গেলে সেখান থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় পেয়ারা পাতা।
৫। ডায়েরিয়া থেকে মুক্তি পেতে পেয়ারা পাতার গুণাগুণ অনস্বীকার্য। পেয়ারা পাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল পান করলে ডায়েরিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬। আটটি পেয়ারা পাতা দেড় লিটার জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল দিনে তিনবার করে পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৭। পেয়ারা পাতা দাঁত ভাল রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। দাঁত ব্যাথা, মাড়ির সমস্যায় অ্যন্টিব্যাকটেরিয়াল-এর ভূমিকা পালন করে।
৮। প্রস্টেট ক্যান্সারে পেয়ার পাতা বিশেষ উপকারী।

আসুন আরেকটু বিস্তারিত জেনে নিই-

চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা: পেয়ারা থেকে পেয়ারার পাতাই কিন্তু আপনার চুলের জন্য বেশি উপকারী। চুল পড়া টেনশনে যাদের রাতের ঘুম হারাম তাদের জন্য আছে এক কার্যকরি উপায়। এক লিটার পানিতে একমুঠো পেয়ারা পাতা দিয়ে ভালো করে গরম করে ফুটিয়ে নিন। এবার দ্রবণটিকে কক্ষ তাপমাত্রায় ঠান্ডা করুন। তেলের মত মাথার ত্বক থেকে শুরু করে আগা পর্যন্ত দ্রবনটি লাগান। প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার চুলপড়ার হার অনেকাংশে কমে যাবে।
পেয়ারা পাতার রস আপনার চুলের গোড়া করবে পোক্ত আর চুল করবে আরো সতেজ।

পেটব্যাথা, আমশয় এবং ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পেতে পেয়ারা পাতা: পেয়ারা পাতাতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। সেদ্ধ পেয়ারা পাতার দ্রবন সেবনে আপনি পেতে পারেন ডায়রিয়া বা পেট ব্যাথার মত সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি।

মুখ অভ্যন্তরের চিকিৎসায় পেয়ারা পাতা: বলা হয়ে থাকে, পেয়ারা পাতা চিবুলে মুখের ভেতরের সার্বিক সচলতা বৃদ্ধি পায়। কালশেটে মাড়ি, দাঁতের ব্যাথা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে পেয়ারা পাতার জুড়ি নেই।

রক্তের শর্করা কমাতে পেয়ারা পাতা: ডায়বেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা পাতা যেন আশির্বাদ স্বরূপ। কেননা, পেয়ারা পাতা দিয়ে বানানো চা নিয়মিত পান করলে, এই চা দেহের ইনসুলিন এর মাত্রা বৃদ্ধি ব্যতীতই শরীরের রক্তের শর্করার পরিমাণ কমাতে পারে।

শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে পেয়ারা পাতা: পেয়ারা পাতা শ্বসনতন্ত্রের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটা ব্রংকাইটিস এবং কাশির জন্য একটি চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

দেখলেন তো আশেপাশে থাকা সাধারণ পেয়ারা পাতা আসলে কত উপকারী! আপনি যদি সতেজ এবং সুস্থ থাকতে চান তবে আজকে থেকেই শারীরিক যত্নে পেয়ারা পাতার ব্যবহার শুরু করুন।

(সংগৃহীত)

আমাদের বিভিন্ন হেলথ রেসিপি আইটেম এর আপডেট ফেসবুকে পেতে লাইক দিন আমাদের ফেসবুক পেজে।
ফেসবুক পেজের লিংক→
facebook.com/homelaboratory1

Home Laboratory | ভেষজ রেসিপিবুক

Tuesday, January 8, 2019

Preface to Home Laboratory!

রেসিপিবুক


স্বাস্থ্য পরিচর্যায় ভেষজ উপাদানসমূহের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে ও রূপচর্চার বিভিন্ন ভেষজ রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া জানতে Home Laboratory এর এই ব্লগের সাথে থাকুন।

আমাদের প্রকাশিত রকমারি রেসিপির আপডেট পেতে লাইক দিন আমাদের ফেসবুক পেজে।
ফেসবুক পেজের লিংক→

Home Laboratory | ভেষজ রেসিপিবুক