গবেষকেরা জানিয়েছেন, খেজুর দিয়ে ইফতার করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ কারণেই বিশ্বজুড়ে রমজান মাসে মুসলমানরা ইফতারিতে খেজুর আর পানি রাখেন। অত্যন্ত পুষ্টিকর এই খাবারটি সম্পর্কে জানুন-
১. ডায়েটারি ফাইবারঃ
ডায়েটারি ফাইবার আসে দ্রবীভূত ও অদ্রবীভূত আঁশ থেকে। খেজুর উভয়টারই বিপুল উৎস। এটা আমাদের হজমশক্তি ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেয়।
২. পলিফেনলঃ
গবেষকদের মতে শুকনা খাবারের মধ্যে খেজুরেই সবচেয়ে বেশি পলিফেনল থাকে। বিপজ্জনক অনেক রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করতে সহায়তা করে এই পলিফেনল।
৩. কার্বোহাইড্রেটঃ
খেজুরের ৭৫ ভাগই কার্বোহাইড্রেট। সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারিতে খেজুর খুব তাড়াতাড়ি আমাদের শক্তি ঘাটতি পূরণ করে৷
৪. পটাশিয়ামঃ
আমাদের হৃদযন্ত্রের সহ সকল পেশির সংরক্ষণে পটাশিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। দেহের নার্ভ সিস্টেম মেটাবলিজম ঠিক রাখতে এর প্রয়োজন অনস্বীকার্য। খেজুরের চেয়ে ভালো পটাশিয়াম উৎস আর হয় না। এ কারণে অনেকেই প্রতিদিন একটি করে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৫. বি-কমপ্লেক্স ভিটামিনঃ
খেজুরে বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন- থিয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি-৬ এবং প্যান্টোথেনিক এসিড রয়েছে। দেহকে স্বাস্থ্যবান রাখতে এসব ভিটামিনের জুড়ি নেই।
৬. ম্যাগনেশিয়ামঃ
এর ঘাটতিতে মাইগ্রেন, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, হাঁপানি ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। কিন্তু খেজুর খেলে এসব রোগ নিয়ে আপনার চিন্তা করার কিছু থাকবে না। কারণ খেজুরে বিপুল পরিমান ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে।
৭. আয়রনঃ
খেজুর আয়রন বা লোহার সমৃদ্ধ যোগানদাতা। আমাদের রক্তের লোহিত কনিকা এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। এই আয়রন রক্তে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়।
৮. আলকালিন লবণঃ
খেজুরে থাকা আলকালিন লবণ রক্তের অ্যাসিডিটি সমন্বয় করতে সহায়তা করে। মাত্রাতিরিক্ত গোশত ও কার্বোহাইড্রেট খেলে ডায়াবেটিস, বাত, পিত্তথলের পাথর, গল ব্লাডারে সমস্যা দেখা দেয় অালকালিনের ইমব্যলেন্স হয়ে। এমন অবস্থায় খালি পেটে প্রথম আদর্শ খাবার হতে পারে খেজুর।
(সংগৃহীত)
ধন্যবাদ | Home Laboratory
No comments:
Post a Comment